এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরে পানিতে ভেসে বীরগঞ্জের ১ যুবক সহ ১৫ জনের মৃত্যু।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ যাবৎ সাপেড় কামড়ে, পানিতে ডুবে ও ¯্রােতে ভেসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী ঢিবিপাড়া এলাকার মেহেদী হাসান (১৫), মির্জাপুর এলাকার আবু নাইম (১৩) ও সদরের দরবারপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৫৫) পানিতে ডুবে মারা যায়।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল গনি জানায়, পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের থানাপাড়া এলাকার মৃত ইসলামের পুত্র নিলফামারীতে ফারিষ্ট লাইফ ইন্সুরেনজে চাকুরীরত জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) নামক এক যুবক রবিবার সন্ধ্যায় খানসামা হয়ে বাড়ীতে ফিরার পথে বীরগঞ্জ উপজেলার কল্যানীহাট পযর্ন্ত পৌচালে রাস্তায় পানি থাকার কারনে ৩/৪ জন মিলে হাটু ও কোমর পযর্ন্ত পানিতে হেটে রাস্তা দিয়ে বীরগঞ্জ পৌচানার চেষ্টা করে। এসময় রাত্রী ৯ টার দিকে বীরগঞ্জ পৌর শহরে প্রবেশ কালে ঢেপা নদীর ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে পৌচালে হটাৎ করে পানির ¯্রােতে ভেসে যায়।
কাহারোল থানার ওসি মনসুর রহমান জানান, রোববার বেলা সাড়ে ৩ টায় বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামে বাড়িতে যাচ্ছিলেন আব্দুর রহমানের স্ত্রী সোনাভান বেগম ঈশ্বরগ্রাম থেকে নিজের ৩ সন্তান ও প্রতিবেশী ১ শিশুকে নিয়ে কলা গাছের ভেলায় চড়ে বাড়ীতে যাওয়ার সময় ভেলা উল্টে ৪ শিশুর মৃত্যু হয়।
এরা হলেন- হাসিলা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে চুমকি (১৩), ছেলে শহিদ আলী (১০) ও সিয়াদ (৭), প্রতিবেশী সাঈদ হোসেনের ছেলে সিহাদ (৭), মালঝাড় এলাকার বাবলু রায়ের স্ত্রী দিপালী রায় (৩২), মালঝাড় এলাকার বাবলু রায়ের স্ত্রী দিপালী রায় (৩২)।
অপরদিকে সড়ক পথে বন্যার কারণে দিনাজপুরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ আছে বলে জানিয়েছেন জেলার মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি।
জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। জেলায় ৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে ৯০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া জানা যায়নি।